অবশেষে ফজলি আম রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ উভয় জেলার ফজলি হিসেবে জি আই স্বীকৃতি পেল।
আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে শিল্প মন্ত্রনালয়ের ডিজাইন, পেটেন্ট ও ট্রেড মার্কস বিভাগের রেজিষ্টার জানেনদ্রনাথ সরকার এ ঘোষণা দেন।
রেজিষ্টার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ ২ জেলাকেই ফজলি আম নিজেদের বলে দাবী করে জি আই ট্যাগ করতে পারবে বলে ষোষণা দেন। এর আগে একই দিন সকাল ১০ টায় রাজশাহী জেলা তাদের পক্ষে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নিজেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে।
শুনানীতে রাজশাহীর পক্ষে অংশ নেন রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিম উদ্দিন, গবেষক শরফ উদ্দিন সহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে লেখক ও গবেষক জাহাঙ্গীর সেলিম এ্যাডভোকেট আবু হাসিব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক শহিদুল ইসলাম, এ্যাডিসনাল সেক্রেটারী মো: আমিনুল ইসলাম এবং আবেদনকারী কৃষি এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মুনজের মানিক অংশ নেন।
শুনানীতে অংশগ্রহনকারী জাহাঙ্গীর সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণার পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী উভয় জেলাই ফজলি আমকে নিজেদের মেধাস্বত্ব হিসেবে দাবী করতে পারবে।
অন্যদিকে আবেদনকারী মুনজের আলম মানিক এ বিজয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসীর ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার বিজয় দাবী করে আরও বলেন শুনানীর ফলাফল লিখিত আকারে আগামী রবিবার পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত: রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন ভৌগলিক পণ্য নির্দেশক হিসেবে রাজশাহীর বাঘা ফজলি নামে ফজলি আমের উৎপত্তিস্থলের জীবনচক্র রাজশাহীর দাবী করে আমটির পূর্ব ইতিহাস তাদের পক্ষে উল্লেখ করে এর মধাস্বত্ত দাবী করে পণ্য ব্যবহারকারীর নিবন্ধনের জন্য ১৫ নম্বর আবেদন করেন ২০১৭ সালের ৯ মার্চে । বিষয়টি জানার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মো: মুনজের আলম মানিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পক্ষে ফজলি আম’কে রাজশাহীর ভৌগলিক পণ্য নিবন্ধনের বিরোধীতা করে চলতি বছরের ১ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন। যার স্মারক নং-জি আই অপজিশন মামলা নং-১/২০২১/২২০।
নিউজঃ bd24live