সরকার কৃষিপণ্য রপ্তানির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভ্যাপার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে। পণ্য প্যাকেজিংয়ের জন্য পূর্বাচলে এক একর জমি দেয়া হয়েছে। সেখানে ল্যাবরেটরিতে আম পরীক্ষার পর প্যাকেজিং হয়ে সরাসরি বিদেশে রপ্তানি হবে।
আগামীতে রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস আম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, সরকার কৃষিপণ্য রপ্তানির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার মতবিনিময় সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদশে কৃষি গবষেণা ইনস্টটিউিটের (বারি) মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম। মতবিনিময়ে অংশ নেন সংসদ সদস্য ড. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, নারী সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্ত, আম চাষি ইসমাইল খান সামীমসহ অনেকে।
সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা কৃষিপণ্য রপ্তানীর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এজন্য ভ্যাপার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হবে। রাজশাহী, নওগাঁ ও ঢাকাতে প্ল্যান্ট করা হবে। প্যাকেজিংয়ের জন্য পূর্বাচলে প্রধানমন্ত্রী এক একর জমি দিয়েছেন। সেখানে ল্যাবটরিসহ সব সুবিধা থাকবে। আম পরীক্ষার পর প্যাকেজিং হয়ে সরাসরি বিদেশে রপ্তানি হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি আয়ের বড় অংশ জুড়েই আছে পোশাক শিল্প। কিন্তু এটা কোনো কারণে যদি সমস্যায় পড়ে তাহলে আমরা কী করব? সেদিক বিবেচনায় আমাদের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে গুরুত্ব দিতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, পুলিশের রাজশাহী বিভাগের কমিশনার আব্দুল বাতেন, চাঁপাইনচবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুল রকিবসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আম চাষিদের মাঝে বারি আম-৪ ও বারি আম-১১ চারা বিতরণ করেন। সকালে মন্ত্রী গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে ধানকাটা ও কৃষক সমাবেশে যোগ দেন।
Courtesy: newsbangla24.com